দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় চলমান কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এ অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে ৭ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই জেলাগুলোতে সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে।

আজ বুধবার থেকে দেশের সব অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে । সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান খোলা হয় সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

এদিকে শিথিল কারফিউয়ে রাজধানীর অফিস-আদালত, বাজার-ঘাটে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন মোড়ে চলছে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি নিয়মিত টহল।
তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর খুলেছে অফিস-আদালত। সকাল ১০টা থেকে কারফিউ শিথিলের পর, চিরচেনা চেহারায় ফিরেছে রাজধানী। তবে বাইরে বেরিয়েই ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। কিছু সড়কে চলাচল বন্ধ ও যানবাহন সংকটই ছিল এর বড় কারণ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা, হামলা ও ভাঙচুর শুরু হলে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে কারফিউ ঘোষণা করা হয়। এ সময় সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেয় সরকার। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বুধবার থেকে অফিস খোলার ঘোষণা দেয় সরকার।

এর আগে চলমান নাশকতা ও সহিংসতার কারণে গত রবিবার ও সোমবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরদিন মঙ্গলবারও সরকারি-বেসরকারি সব অফিস নির্বাহী বিভাগের আদেশে বন্ধ ছিল।